বাংলা চটি গল্প

রবিবার, ৩ জুলাই, ২০১১

বড়দের কৌতুক সংগ্রহ ১৪

১।
ভোরবেলা। মহিলা স্বামীকে বললেন, ‘নাস্তা করবে না? ডিম পোচ আর টোস্ট, সাথে আপেল আর কড়া এক কাপ কফি?’
স্বামী মাথা নাড়লেন, ‘উঁহু। এই ভায়াগ্রা, বুঝলে, আমার খিদে একেবারে নষ্ট করে দিয়েছে।’
দুপুরবেলা। মহিলা স্বামীকে বললেন, ‘লাঞ্চ করবে না? মুরগির সুপ, সালাদ, আর তার সাথে চিজ স্যান্ডউইচ নাহয়?’
স্বামী মাথা নাড়লেন, ‘উঁহু। এই ভায়াগ্রা, বুঝলে, আমার খিদে একেবারে নষ্ট করে দিয়েছে।’
সন্ধ্যেবেলা। মহিলা স্বামীকে বললেন, ‘ডিনার করবে না? যাও না গো, চিকেন ফ্রাই নিয়ে এসো, দুমিনিট লাগবে, ঐ মোড়ের কাবাবের দোকানে পাবে। কিংবা পিজার অর্ডার দিই ফোন করে?’
স্বামী মাথা নাড়লেন, ‘উঁহু। এই ভায়াগ্রা, বুঝলে, আমার খিদে একেবারে নষ্ট করে দিয়েছে।’
মহিলা এবার চটে গিয়ে বললেন, ‘তাহলে নামো আমার ওপর থেকে। ক্ষিদেয় পেট জ্বলছে আমার, কিছু খাবো!’
২।
মানসিক রোগীর রোরশাখ ইঙ্কব্লট টেস্ট নিচ্ছেন মনোচিকিৎসক। হিজিবিজি কিছু কালির ছোপ রোগীকে দেখানো হয় এ টেস্টে।
প্রথম কার্ডটা এগিয়ে দিলেন তিনি। ‘বলুন তো এটা কিসের ছবি?’
‘একটা ছেলে একটা মেয়েকে জাপটে ধরে চুমু খাচ্ছে।’
দ্বিতীয় ছবিটা এগিয়ে দিলেন ডাক্তার। ‘এটা কিসের ছবি বলুন তো?’
‘ঐ ছেলেটা এবার মেয়েটার জামাকাপড় খুলে ফেলছে, আর মেয়েটা চেঁচাচ্ছে হাঁ করে।’
আরেকটা ছবি এগিয়ে দিলেন ডাক্তার। ‘এটা কিসের ছবি বলুন তো?’
‘ছেলেটা মেয়েটার চুল টেনে ধরে ঘাড়ে কামড় দিচ্ছে, আর মেয়েটা খিখি করে হাসছে।’
ডাক্তার আর পারলেন না। ‘দেখুন, রিয়াদ সাহেব, আপনার রোগ খুব জটিল পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আপনার মনটা খুবই নোঙরা, আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি।’
রিয়াদ সাহেব চটে আগুন। ‘নিজে যত রাজ্যের নোঙরা ছবি এগিয়ে দিচ্ছেন আমাকে, আর বলছেন আমার মন নোঙরা?’
৩।
প্রশ্ন : কিভাবে বুঝবো, আমি সেক্সের জন্য প্রস্তুত কি না?
উত্তর : তোমার বয়ফ্রেন্ডকে জিজ্ঞেস করে দ্যাখো। এ ব্যাপারে ছেলেরা বেশ বুঝদার। ও-ই জানবে তুমি প্রস্তুত কি না।
প্রশ্ন : প্রথম ডেট এ গিয়েই কি সেক্স করা উচিত?
উত্তর : অবশ্যই উচিত। কেন নয়? পারলে তার আগেই করা উচিত।
প্রশ্ন : সেক্সের সময় কী হয়?
উত্তর : এটা ছেলেদের ওপর নির্ভর করে। তবে মনে রাখতে হবে যে তোমাকে যা করতে বলা হবে তা তুমি বিনা প্রশ্নে করে যাবে। অনেক সময় হয়তো তোমার কাছে একটু উদ্ভট লাগতে পারে ব্যাপারগুলি, কিন্তু ঐটাই দস্তুর।
প্রশ্ন : কতখন সেক্স করতে হয়?
উত্তর : এটা একেবারেই প্রাকৃতিক ব্যাপার, কাজেই লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। যতখন হওয়ার হবে। সেক্সের পর সবসময় ছেলেদের একটা প্রবণতা হচ্ছে তোমাকে ছেড়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় বেরিয়ে পড়ার, কিছু ব্যক্তিগত টুকটাক শেয়ার করার জন্য। ঘাবড়ানোর কিছু নেই। তুমি ততক্ষণে ওর ঘরদোর গুছিয়ে রাখতে পারো, জামাকাপড় ধুয়ে দিতে পারো, কিংবা ওর জন্য দামী কোন কিছু কিনতে বেরিয়ে পড়তে পারো। আবার সময় হলেই ও তোমার কাছে ফিরে আসবে।
প্রশ্ন : “পররাগ” কী?
উত্তর : সেক্সের পর এটা করতে হয়। সাধারণত ছেলেদের কিছু সময় লাগে আবার শক্তি ও জোশ ফিরে আসতে। এই ফাঁকে তুমি পররাগ করতে পারো। পররাগের মধ্যে পড়ে, ওর সিগারেট ধরিয়ে দেয়া, কিংবা ভালোমন্দ কোন নাস্তা তৈরি করে দেয়া, অথবা বেচারাকে একটু ঘুমাতে দেয়া, অথবা ওর জন্য দামি কিছু কিনতে বেরিয়ে পড়া।
প্রশ্ন : পুরুষাঙ্গের আকার কি আসলেই গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর : অবশ্যই। অনেকে বলতে চায় যে পরিমাণ নয়, মানই সবকিছু, কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে যে ব্যাপারটা ঠিক উল্টো। পরিমাণ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। ছেলেদের উত্থিত অঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য ৩” এর কাছাকাছি। এর চেয়ে বড় কিছু অত্যন্ত দুর্লভ, এবং তোমার প্রেমিকের লিঙ্গ যদি ৫”-৬” হয়, তাহলে তোমার উচিত হবে ঈশ্বরের কাছে হাত তুলে ধন্যবাদ জানানো, এবং তার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা, তাকে খুশি রাখা। তুমি তার জামাকাপড় ধুয়ে দিয়ে, ঘরদোর গুছিয়ে দিয়ে, বা ওর জন্য দামি কোন উপহার কিনে খুশি রাখার চেষ্টা করতে পারো।
প্রশ্ন : আচ্ছা, মেয়েদের অর্গাজম ব্যাপারটা কী?
উত্তর : মেয়েদের অর্গাজম? এটা আবার কী? আরে ধুর, এগুলি সব বানানো গল্প।
৪।
নিজের ইচ্ছেশক্তি পরীক্ষার জন্যে এক ভদ্রলোক ঠিক করলেন, তিনমাস তিনি স্ত্রীর সাথে মিলিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এ ব্যাপারে তাঁর স্ত্রীর তেমন আগ্রহ না থাকলেও ভদ্রলোকের প্রস্তাবে রাজি হলেন তিনি।
প্রথম কয়েক হপ্তা তেমন একটা সমস্যা হয়নি। দ্বিতীয় মাস থেকে শুরু হলো সমস্যা। ভদ্রমহিলা তখন বোরখা পরে আর রসুন চিবিয়ে ঘুমুতে গেলেন। বহুকষ্টে দ্বিতীয় মাস কাটানোর পর তৃতীয় মাস থেকে সত্যিই খুব কষ্ট হতে লাগলো। মহিলা বাধ্য হলেন ভদ্রলোককে ড্রয়িংরূমের সোফায় ঘুমুতে পাঠানোর জন্যে, আর রাতে নিজের ঘরের দরজায় খিল এঁটে রাখতে হলো তাঁকে।
এমনি করে তিনমাস শেষ হলো। একদিন ভোরে শোবার ঘরের দরজায় টোকা পড়লো। ঠক ঠক ঠক।
‘বলো তো আমি কে?’ ওপাশ থেকে ভদ্রলোকের গলা ভেসে এলো।
‘আমি জানি তুমি কে!’ উৎফুল্ল গলায় বললেন মহিলা।
‘বলো তো আমি কী চাই?’
‘আমি জানি তুমি কী চাও!’
‘বলো তো আমি কী দিয়ে দরজায় নক করছি?’
৫।
একটা অ্যাক্সিডেন্টে ভয়ানকভাবে পুড়ে গেছেন এক সুন্দরী মহিলা। সারা শরীর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাঁর, কিন্তু সবচে বাজে অবস্থা মুখের। ডাক্তার মহিলার স্বামীকে জানালেন, কসমেটিক সার্জারি করতে হবে। অন্য কোথাও থেকে চামড়া এনে মহিলার মুখে বসাতে হবে। মহিলার নিজের শরীরের চামড়া এ অবস্থায় সরানো সম্ভব নয়, সমস্যা হতে পারে।
স্বামী ভদ্রলোক তখন তাঁর শরীর থেকে চামড়া নেয়ার প্রস্তাব দিলেন। ডাক্তার রাজি হলেন, এবং ভদ্রলোকের নিতম্ব থেকে চামড়া তুলে ভদ্রমহিলার মুখে বসালেন। অবশ্য এই দম্পতি ডাক্তারকে অনুরোধ জানালেন গোটা ব্যাপারটা গোপন রাখার জন্যে।
অপারেশন শেষে দেখা গেলো, মহিলাকে আরো সুন্দরী দেখাচ্ছে। আত্মীয়স্বজন তো তাঁকে দেখে অবাক, এতো চমৎকার অপারেশনের জন্যে ডাক্তারকে প্রচুর ধন্যবাদ জানিয়ে বাড়ি ফিরে এলেন সে দম্পতি।
কিছুদিন পর নিরালায় মহিলা ধন্যবাদ জানালেন তাঁর স্বামীকে। ‘তুমি আমার জন্যে যা করলে, তা আমি জীবনে ভুলতে পারবো না গো, এর প্রতিদান আমি দিতে পারবো না।’ গদগদ হয়ে বললেন মহিলা।
স্বামী তাঁকে একহাতে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘ও কিচ্ছু না, লক্ষীটি। আর তোমার প্রতিদান দিতেও হবে না। যতবার তোমার মা এসে তোমার গালে চুমো খায়, আমার প্রতিদান পাওয়া হয়ে যায়।’

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন